প্রসঙ্গ – রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি
রোদ্দুর রায় একটা ক্যারেক্টার যা আমরা অনেকেই হতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। রোদ্দুর রায় একটা বিপ্লবী চরিত্র। উনি স্থিরতাকে ভাঙতে চাইছেন বারবার। যা কিছু নরম্যাল তাকেই আঘাত করতে চাইছেন।
পর্ণোগ্রাফি ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজানোটাও একটা চিরায়ত ফর্মকে এবং অবশ্যই ফরম্যাটকে আঘাত করা। যে কোনো ফর্ম ভাঙার আউটকাম খারাপ বা ভালো দুটোই হতে পারে।
আশেপাশে সিঁদুর নেই বলে নায়ক আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে নায়িকার সিঁথি ভরে দিল। তুমুল হাততালি। কিন্তু ক’জন সেই ফর্ম প্রাকটিস করে ??
বিদ্যাসাগর বলে উঠলো এ বাবা বর মরলে বউকেও আগুনে পুড়তে হবে কেন ?? রাস্তায় রাস্তায় বিদ্যাসাগরের দিকে পাঁথর ছোঁড়া হচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ বললো চলো ছাত্ররা গাছের তলায় গিয়ে পড়াশোনা করি। লোকটা আগে থেকেই নোবেল পেয়েছিল বলে কেউ সাহস করে মুখের উপর বেশি কিছু বললো না।
গদার বললো অভিনেতারা দাঁড়িয়ে থাক, ক্যামেরাটা হাঁটা-চলা করুক।
পুরন্দর ভাট (নবারুণ) বললো গাঁড় মারি তোর মোটর গাড়ির।
সেবকের নাম করে ভোট চেয়ে ওনারা এখন শাসক ও শোষক। ওনাদের ক্ষমতার ভয়ে এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে যে কথা গুলো আমরা সাধারণ প্রজারা বলতে পারি না, রোদ্দুর রায় আমাদের হয়ে সে কথা গুলোই বলে। তার গ্রেফতারীতে প্রতিবাদটুকু তো জানাতেই পারি। অতটা ভীতুও তো হয়ে যাই নি এখনও।
বললে অনেক কথাই বলা যায়, কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহারে ওরা নির্দোষ মানুষকেও জেলে ঢোকাতে পারে। আর এই মুহুর্তে আমাকে অফিস থেকে অতগুলো লিভ দেবে না বলে কথা গুলো বলতে পারলাম না। কিন্তু রোদ্দুর রায় বলতে পেরেছিল। তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কমেন্টে এসে ‘খিস্তি’ কি আপনি সমর্থন করেন প্রশ্ন শুধু তারাই করবেন যারা নিজেরা কোনোদিন কোনো খিস্তি দেন নি।
হ্যাশট্যাগ বালের সোসাইটি !!