মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের প্রেম প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় ??
প্রথমেই বলে রাখা ভালো এটা সব মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সব বয়সের মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়। যেসব মেয়েদের বয়স ১৬ থেকে ২৫-এর মধ্যে তাদের মধ্যেই এই বিশেষ গুণ(!!) লক্ষ্য করা যায়। তবে আবার বলছি, সব মেয়ে এমন নয়। কিছু মেয়ে আছেন তারা নিজেদের মনে করেন তিনি একাই পৃথিবীর শেষ সুন্দরী।
আপনি কখনও কোনো মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছেন। নিশ্চয় প্রথমবারে সফল হননি। হওয়াটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তাহলে মেয়েটি আপনার ভালোবাসার উত্তরে আপনাকে কি বলেছে? মেয়েরা সাধারণত যেটা বলে থাকে বা যেগুলো বলতে ভালোবাসে সেই রকম সেরা ৫টা কারণ জেনে নিন।
‘আয়নায় নিজের মুখ দেখ গিয়ে’
যদি কোনো ছেলে তাদের কাছে প্রেম প্রস্তাব দেয় তাহলে তাদের প্রিয় ডায়লগটি হল ‘আয়নায় নিজের মুখ দেখ গিয়ে’। দেখব না। তোমার কি !! হতেই পারে ছেলেটাকে দেখতে ভালো নয়, তাতে কি হল ?? চকোলেটের রঙ কালোই হয়। সে কি তোমার মাথায় লিচুর বিঁচি ছুঁড়ে মেরেছে। সে তোমায় ভালোবাসে সেটাই তো বলতে এসেছে। তাহলে তাকে হেনস্থা না করে নরম করে উত্তর দিলেই তো হয়। কি বলবে ? যদি পছন্দ না হয় তাহলে বলে দাও, ‘আপনি আমায় ভালোবাসেন তার জন্যে আমি কৃতজ্ঞ কিন্তু আমার এই ব্যাপারে মত নেই। দয়া করে আমায় আর এসব কথা বলবেন না।’
আমার বয়ফ্রেন্ড আছে
এটা একটা মহা ঢপ যেটা বেশীর ভাগ মেয়েরাই বলে থাকে। কিছু মেয়ে আছে যারা অতটা মুখরা নয় বা খুব একটা বাউন্ডুলে টাইপ নয়। কিন্তু এদের মাথায় খুব বুদ্ধি। বিশেষ করে দরকারি সময়ে সঠিক সমাধান সব সময় এদের কাছে হাজির। ধরা যাক মজনু এসে লায়লাকে হঠাৎ প্রস্তাব দিল। লায়লা তৎক্ষণাৎ মজনুকে বলে দেবে ইস্ তুমি এক মাস আগে বলতে পারলে না, আমি তো রোমিও-র সাথে প্রেম করি। হয়ত সেই সময় রোমিও পাশ থেকে যাচ্ছিল। রোমিওকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে লায়লা তার না হওয়া মজনুকে বলে দিল এখন এই আমার রোমিও আর তুমি অন্য কোথাও জমিয়ো। মজনু ভ্যাবাচ্যাকা মুখ করে হাপুস নয়নে বিছানা চেপে ভ্যাঁ ভ্যাঁ। ওদিকে রোমিও তো অথই জলে। মজনু কলেজের গেটটা টপকাতেই লায়লা রোমিওকে ছেড়ে দিয়ে বলল – সরি। এরপর গটগট করে রিক্সা চেপে বাড়ি। ফ্যাঁসাদে কে পড়ল? রোমিও। কারণ ততক্ষণে তার যিনি জুলিয়েট আছেন, তার কানে কথা চলে গেছে। এবার কি হবে এবং আদৌ রোমিওর প্রেম টিকবে কি না তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
আমার বাড়ি থেকে মানবে না
বাড়ি থেকে লুকিয়ে মামণি বহুবার নন্দন নলবন করেছে। সেই বেলায় তার বাড়ির কথা মাথায় আসে নি। কিন্তু পাড়ার গোবেচারা ছেলেটা যেই গোলাপ হাতে প্রেম প্রস্তাব দিতে গেল অমনি মামুণির বাড়ির চিন্তা মাথায় নাড়া দিল। আমার বাপি না খুব রাগী, যদি জানতে পারে আমায় আর আস্ত রাখবে না। আহা!! কি সরল রে !! বান্ধবীর দাদার বিয়ে বলে সেই যে সেবার তুমি বন্ধুরা মিলে একদিনের ট্যুরে বকখালি ঘুরে এলে, সেই সময় মাথার চিন্তা ছিল না !! ফেসবুক আইডির নাম পালটে দিলে যাতে বন্ধুরা ছবিতে ট্যাগ না করতে পারে। আর এই ছেলেটা তোমায় ভালোবাসার কথা বলতে এল অমনি তোমার বাড়ি নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু হল।
আপনারা বড়লোক আমরা গরীব
এটা হাইপ। এখনও এই ধরণের আদিম যুগের কিছু মেয়ে পৃথিবীতে আছে। ধরুন পাড়ার তিন তলা বাড়ির ছেলেটি সেই পাড়ারই ভাড়া থাকে একটি মেয়েকে চিঠি পাঠালো। মেয়েটি কি উত্তর দেবে ?? আপনারা বড়লোক, আমরা গরীব। আপনার বাড়ি থেকে কিছুতেই এই প্রেম মেনে নেবে না। ওরে তেরি। তুমি যে এরকম মাদার ইন্ডিয়া সে তো জানা ছিল না। বাবার বোনাস থেকে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ফোনে অ্যাংরি বার্ড খেলার সময় গরীব বড়লোক মনে থাকে না। নিজের জন্মদিনে বন্ধুদের বিদেশী কফিশপে কফি না খাওয়ালে তোমার প্রেস্টিজ থাকে না। সেই সময় তোমার বাবার ঘাম মায়ের পরিশ্রম চোখে পড়ে না। ভালো ছেলেটি ভালোবাসার কথা বলতে এলেই তোমার ইমোশনাল হরমোনে দোলা দিয়ে উঠল।
আমি ভেবে দেখব
হ্যাঁ এরকম মেয়েও আপনি পাবেন যারা ভাবতে এবং অন্যকে ভাব দেখাতে খুব ভালোবাসে। এদের ভাবা অনেকটা রাজ্য সরকারের দেনার মত, কিছুতেই চুকোচ্ছে না। এক সপ্তাহ পরে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করবেন। উত্তর সেই একই পাবেন। আমি একটু ভেবে দেখি। দিদি এত ভাববেন না। মাথা ভারী হয়ে যাবে। অবশ্য মাথা ভারী হলে মেয়েদের খুব একটা অসুবিধা হয় না। ওটা এমনিতেই হালকা। মেয়েরা নিজের পা ভারী হওয়া নিয়ে খুব টেনশনে থাকে।
এরকম আরও হাজারটা ফালতু কারণ আছে যেগুলি মেয়েরা প্রেম প্রস্তাব কাটানোর জন্যে বলে থাকে। কিন্তু এসব বলার কোনো মানেই হয় না। অকারণ ছেলেদের নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুরিয়ে এক কথায় ‘আপনার প্রস্তাবটা আমি রাখতে পারলাম না’ বলে দেওয়াই শ্রেয়। এতে দু-পক্ষের-ই সুবিধে