ফ্লার্ট বোঝো না – খালি ঢং করো !!
কোনো মেয়ের সাথে প্রথম দেখা হলে তোমার চোখ দুটো কি সুন্দর, তুমি কি সুন্দর কথা বলো, তোমার চুল, তোমার হাঁটা কি অপূর্ব !! মেয়েটা একটু আশকারা দিলে তোমার ঠোঁট কি নরম – এইসব বলা তো আমরা স্কুল থেকেই শিখেছি। 😜
ফ্লার্ট করা একটা আর্ট !! প্রোপোজ করা পরীক্ষা দেওয়ার মত। আমরা পরীক্ষা দিই না। মুহুর্ত তৈরী করি। ইন্টারেস্টেড টু বিল্ড আ মোমেন্ট, নট ইয়োর লাইফ।
একজনকে প্রথমদিন দেখে ভালো লাগলো। দ্বিতীয় দিন মারাত্মক ভালো লাগলো। তৃতীয় দিন খারাপ, চতুর্থ দিন জঘন্য, পঞ্চম দিন মনে হলো বেঁচে গেছি ওই পথে পা মাড়াই নি।
আমাদের সময়ের মেয়েরা, ওই এখন যাদের বয়স 30 এর উপরে এবং 40 স্পর্শ করতে কিছুটা বাকি, অনেক বেশি ম্যাচিওরড ছিল। ফ্লার্ট করলে বুঝতো, সেই অনুযায়ী সাড়াও দিত।
এখনকার মেয়েদের সাথে দুলাইন ফ্লার্ট করলেই ভেবে নেয় ছেলেটা তার প্রেমে পড়েছ এবং তাকে না দেখে না কথা বলে ছেলেটার নাকি ঘুম, হজম ইত্যাদি হচ্ছে না। রাতারাতি কমনফ্রেন্ডদের মাঝে ‘জানিস ওই ছেলেটা আমায় এই এই বলেছে’ বলে হেব্বি ভাব নিয়ে নেয়। খুকি ছেলেটা খেলাচ্ছিল, তোমার আইকিউ লেভেল যে এত তলানিতে সেটা সে বুঝতে পারেনি।
আমাদের কিছুটা আগের ব্যাচের সিনিয়র মেয়েরা যারা এখন মধ্যবয়সীদের দলে পড়ে, 45 এর আশেপাশে বয়স। যারা শাড়ির আঁচল উড়িয়ে আমাদের আগে আগে হাঁটতো, আমরা হাফ প্যান্ট সামলে পিছন পিছন বাড়ি ফিরতাম, সেইসব মেয়েদের আইকিউ লেভেল তো আরও চরম ছিল। তারা গোপন করতে জানতো। টেস্ট পেপারের মধ্যে, ক্যালেন্ডারের পিছনে লিখে রাখতো একটা দুটো শব্দ। সাদাকালো সেইসব মেয়েদের সাথে আবার যদি প্রেম করা যেত। আহা !!
সরি গার্লস !! বাট এই প্রজন্মের মেয়েরা সব হাঁট করে দেয়। আমাকে চল্লিশটা ছেলে প্রোপোজ করেছে, চারশো জন ফ্লার্ট করেছে বলে ফ্রেন্ড সার্কেলে গান গেয়ে বেড়ায়। পপুলারিটি সংখ্যা দিয়ে বিচার করে। মুহুর্তটাকে হারিয়ে ফেলে। 🤷